২৬৪৫-(২০২/১১৬৩) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমযানের সিয়ামের পর সর্বোত্তম সওম হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহাররমের সওম এবং ফারয (ফরয) সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) হচ্ছে রাতের সালাত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬২২, ইসলামীক সেন্টার ২৬২১)
৪৬৬২. আবূ বাকর (রাঃ) কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বললেন, আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেন সেদিন যেভাবে যামানা ছিল তা আজও তেমনি আছে। বারমাসে এক বছর, তার মধ্যে চার মাস পবিত্র। যার তিন মাস ধারাবাহিক যথা যিলকাদ, যিলহাজ্জ ও মুহার্রম আর মুযার গোত্রের রাজব যা জামাদিউসসানী ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী। [৬৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩০২)
৩৭৫৩. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তাকে ইরাকের এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইহরামের অবস্থায় মশা-মাছি মারা যাবে কি? তিনি বললেন, ইরাকবাসী মশা-মাছি মারা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে অথচ তারা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাতিকে হত্যা করেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) আমার নিকট দুনিয়ায় যেন দু’টি ফুল। (৫৯৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৭৮)
২৫৩২-(১১৭/১১২৬) আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জাহিলী যুগে লোকেরা আশূরার দিন সিয়াম (রোজা/রোযা) পালন করত। রমযানের সিয়াম (রোজা/রোযা) ফারয (ফরয) হওয়ার পূর্বে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও এদিন সিয়াম (রোজা/রোযা) পালন করেছেন এবং মুসলিমগণও। যখন রমযানের সিয়াম (রোজা/রোযা) ফারয (ফরয) হল তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আশূরার দিন আল্লাহর দিনসমূহের একটি দিন। সুতরাং যার ইচ্ছা সে এ দিন সিয়াম (রোজা/রোযা) পালন করবে, আর যার ইচ্ছা সে তা ছেড়ে দিবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৫০৯, ইসলামীক সেন্টার ২৫০৮)
২৫৪৮–(১২৮/...) ইবনু আবী উমর (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদীনায় হিজরত করে ইয়াহুদীদেরকে আশুরার দিন সওম পালনরত দেখতে পেলেন। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন দিনের সওম পালন করছ, তারা বলল, এ মহান দিনে আল্লাহ তা'আলা মূসা (আঃ) ও তার সম্প্রদায়কে মুক্তি দিয়েছেন এবং ফিরআওন ও তার কওমকে ডুবিয়ে দিয়েছেন। এরপর মূসা (আঃ) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার লক্ষ্যে এ দিনে সওম পালন করেছেন। তাই আমরাও এ দিনে সওম পালন করছি। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমরা তো তোমাদের থেকে মূসা (আঃ) এর অধিক নিকটবর্তী এবং হাক্বদার। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সওম পালন করলেন এবং সওম পালন করার জন্য সকলকে নির্দেশ দিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৫২৫, ইসলামীক সেন্টার. ২৫২৪)
২৫৫৬-(১৩৩/১১৩৪) হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশূরার দিন সিয়াম (রোজা/রোযা) পালন করেন এবং লোকদেরকে সিয়াম (রোজা/রোযা) পালনের নির্দেশ দেন, তখন সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়াহুদ এবং নাসারা এ দিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইনশাআল্লাহ আগামী বছর আমরা নবম তারিখেও সিয়াম (রোজা/রোযা) পালন করব। বর্ণনাকারী বলেন, এখনো আগামী বছর আসেনি, এমতাবস্থায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকাল হয়ে যায়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৫৩৩, ইসলামীক সেন্টার ২৫৩২)