৬৮৪১-(৯৯/২৭৪২) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... আবু সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) এর সানাদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, অবশ্যই দুনিয়াটা চাকচিক্যময় মিষ্টি ফলের মতো আকর্ষণীয়। আল্লাহ তা’আলা সেখানে তোমাদেরকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছেন। তিনি লক্ষ্য করতেছেন যে, তোমরা কিভাবে কাজ করো। তোমরা দুনিয়া ও নারী জাতি থেকে সতর্ক থেকো। কেননা বনী ইসরাঈলদের মাঝে প্রথম ফিতনাহ নারীকেন্দ্রিক ছিল।
ইবনু বাশশার (রহঃ) এর বর্ণিত হাদীসে فَيَنْظُرُ এর স্থানে لِيَنْظُرَ কথাটি আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬৯৭, ইসলামিক সেন্টার ৬৭৫১)
৫১৫৫-[১] ‘আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : দু'টি নিআমাতের ব্যাপারে অনেক মানুষ ধোঁকায় পতিত হয়; একটি সুস্থতা অপরটি অবসরতা। (বুখারী)
৫৯৭০। মাক্কী ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুটি নিয়ামত এমন আছে, যে দু'টোতে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হল, সুস্থতা আর অবসর।
আব্বাস আম্বরী (রহঃ) ... সাঈদ ইবনু আবূ হিন্দ (রহঃ) থেকে ইবনু আব্বাস (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
৫১৫৬-[২] মুসতাওরিদ ইবনু শাদ্দাদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহর শপথ! আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার উপমা হলো, যেমন- “তোমাদের কেউ মহাসমুদ্রের মধ্যে নিজের একটি অঙ্গুলি ডুবিয়ে দেয় এরপর সে লক্ষ্য করে দেখুক তা কি (পরিমাণ পানি) নিয়ে আসলো”। (মুসলিম)।
৫১৫৭-[৩] জাবির (রা.) হতে বর্ণিত। একদিন রসূলুল্লাহ (সা.) একটি কানকাটা মৃত বকরীর বাচ্চার নিকট দিয়ে অতিক্রমকালে বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে পছন্দ করবে যে, এক দিরহামে বিনিময়ে এটা তার মালিকানাভুক্ত হোক। তাঁরা বললেন, কোন কিছুর বিনিময়ে এটা আমাদের মালিকানাভুক্ত হোক তা আমরা পছন্দ করব না। তখন তিনি বললেন : আল্লাহর শপথ! এটা তোমাদের কাছে যতটুকু নিকৃষ্ট, আল্লাহর কাছে দুনিয়া (এবং তার সম্পদ) এর চেয়েও অধিক নিকৃষ্ট। (মুসলিম)
৫১৫৮-[৪] আবু হুরায়রাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : দুনিয়া মু'মিনের জন্য জেলখানা আর কাফিরের জন্য জান্নাতস্বরূপ। (মুসলিম)
৫১৬৭-[১৩] আনাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তিনটি জিনিস মৃত লাশের সাথে যায়। দুটি ফিরে আসে এবং একটি তার সাথে থেকে যায়। তার সাথে গমন করে আত্মীয়স্বজন, মাল-সম্পদ এবং তার ‘আমল। পরে জাতি-গোষ্ঠী ও মাল-সম্পদ ফিরে আসে এবং থেকে যায় তার ‘আমল। (বুখারী ও মুসলিম)
৫১৬৮-[১৪] ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্উদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যার কাছে নিজ সম্পদ অপেক্ষা উত্তরাধীকারীদের সম্পদ অধিক প্রিয়? তারা বলল : হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই; বরং ওয়ারিসের সম্পদ অপেক্ষা নিজের সম্পদই অধিক প্রিয়। তিনি (সা.) বললেন : যে (আল্লাহর পথে খরচ করে) যা অগ্রিম পাঠায় তাই তার সম্পদ। আর যা সে পিছনে রেখে যায় তা তার ওয়ারিসের সম্পদ। (বুখারী)।
৪০৩১। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।[1]
হাসান সহীহ।