৫৮৩৪-(৩/২২৭৮) হাকাম ইবনু মূসা আবূ সালিহ্ (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কিয়ামতের দিন আদম সন্তানদের সরদার হব এবং আমিই প্রথম ব্যক্তি যার কবর খুলে যাবে এবং আমিই প্রথম সুপারিশকারী ও প্রথম সুপারিশ গৃহীত ব্যক্তি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭৪১, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৭২)
২৬৪০-(১৯৮/...) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবূ কতাদাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সোমবারের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ঐদিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং ঐদিন আমার উপর (কুরআন) নাযিল হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬১৭, ইসলামীক সেন্টার ২৬১৬)
৪৪৪৮. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। সোমবারে সাহাবীগণ ফজরের সালাতে ছিলেন। আর আবূ বাকর (রাঃ) তাদের সালাতের ইমামত করছিলেন। হঠাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর হুজরার পর্দা উঠিয়ে তাদের দিকে দেখলেন। সাহাবীগণ কাতারবন্দী অবস্থায় সালাতে ছিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসি দিলেন। আবূ বাকর (রাঃ) মুক্তাদীর সারিতে পিছিয়ে আসতে মনস্থ করলেন। তিনি ধারণা করেছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সালাত আদায়ের জন্য বের হওয়ার ইচ্ছা করছেন। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (আগমনের) আনন্দে সাহাবীগণের সালাত ভঙ্গের উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতের ইশারায় তাদের সালাত পূর্ণ করতে বললেন। তারপর তিনি হুজরায় প্রবেশ করলেন ও পর্দা টেনে দিলেন। [৬৮০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৮)
৬৪৩৮-(৩৫/২৫৬৫) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। এরপর এমন সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, যারা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে না। তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই ও তার মধ্যে শক্রতা বিদ্যমান। এরপর বলা হবে, এ দু’জনকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য অবকাশ দাও, এ দু’জনকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য সুযোগ দাও, এ দু’জনকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য সুযোগ দাও। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৩১২. ইসলামিক সেন্টার ৬৩৬১)
৭৪৭। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহ তা'আলার দরবারে) আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমার আমলসমূহ যেন রোযা পালনরত অবস্থায় পেশ করা হোক এটাই আমার পছন্দনীয়।
— সহীহ, তাখরাজুল মিশকাত (২০৫৬), তা’লীকুর রাগীব (৮৪/২), ইরওয়া (৯৪৯)
এই অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন।
৪৪৬২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ প্রকটরূপ ধারণ করে তখন তিনি বেঁহুশ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় ফাতেমাহ (রাঃ) বললেন, উহ্! আমার পিতার উপর কত কষ্ট! তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, আজকের পরে তোমার পিতার উপর আর কোন কষ্ট নেই। যখন তিনি ইন্তিকাল করলেন তখন ফাতেমাহ (রাঃ) বললেন, হায়! আমার পিতা! রবের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। হায় আমার পিতা! জান্নাতুল ফিরদাউসে তাঁর বাসস্থান। হায় পিতা! জিবরীল (আঃ)-কে তাঁর ইনতিকালের খবর শুনাই। যখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সমাহিত করা হল, তখন ফাতিমাহ (রাঃ) বললেন, হে আনাস! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মাটি চাপা দিয়ে আসা তোমরা কীভাবে বরদাশত করলে! (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১০৮)
২৫৫১-(.../...) আহমাদ ইবনুল মুন্যির (রহঃ) ... কায়স (রহঃ) এর সূত্রে এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আবূ মূসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বারের ইয়াহুদীরা আশূরার দিন সওম পালন করত, তারা এ দিনকে ঈদরূপে বরণ করত এবং তারা তাদের মহিলাদেরকে অলংকার ও উত্তম পোশাকে সুসজ্জিত করত। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরাও এ দিনে সওম পালন কর। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৫২৮, ইসলামীক সেন্টার ২৫২৭)