লোড করা হচ্ছে ...

খুতবার বিষয়: আল্লাহর সাথে কেমন সম্পর্ক

আল্লাহর সাথে কেমন সম্পর্ক


কুরআনের দলিল
১১ : ৬ আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে।
৫১ : ৫৬ আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।
৫১ : ৫৭ আমি তাদের কাছে জীবিকা চাই না এবং এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার্য যোগাবে।
৫১ : ৫৮ আল্লাহ তা’আলাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।

২৯ : ৬০ এমন অনেক জন্তু আছে, যারা তাদের খাদ্য সঞ্চিত রাখে না। আল্লাহই রিযিক দেন তাদেরকে এবং তোমাদেরকেও। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
২৯ : ২১ তিনি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যার প্রতি ইচ্ছা রহমত করেন। তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
২৯ : ২২ তোমরা স্থলে ও অন্তরীক্ষে আল্লাহকে অপারগ করতে পারবে না এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন হিতাকাঙ্খী নেই, সাহায্যকারীও নেই।

১৭ : ৫৪ তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞাত আছেন। তিনি যদি চান, তোমাদের প্রতি রহমত করবেন কিংবা যদি চান, তোমাদের আযাব দিবেন। আমি আপনাকে ওদের সবার তত্ত্বাবধায়ক রূপে প্রেরণ করিনি।
২১ : ৩৫ প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
২ : ১০৭ তুমি কি জান না যে, আল্লাহর জন্যই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য? আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই।
৩৯ : ৫৪ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও তোমাদের কাছে আযাব আসার পূর্বে। এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না;
১০ : ১০৭ আর আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন কষ্ট আরোপ করেন তাহলে কেউ নেই তা খন্ডাবার মত তাঁকে ছাড়া। পক্ষান্তরে যদি তিনি কিছু কল্যাণ দান করেন, তবে তার মেহেরবানীকে রহিত করার মতও কেউ নেই। তিনি যার প্রতি অনুগ্রহ দান করতে চান স্বীয় বান্দাদের মধ্যে তাকেই দান করেন; বস্তুত; তিনিই ক্ষমাশীল দয়ালু।
৫১ : ৫০ অতএব, আল্লাহর দিকে ধাবিত হও। আমি তাঁর তরফ থেকে তোমাদের জন্যে সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
৩৪ : ১৩ তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।
৫১ : ৪৯ আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর।

হাদিস দলিল

২৪৬৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদাতের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা কর, আমি তোমার অন্তরকে ঐশ্বর্যে পূর্ণ করে দিব এবং তোমার অভাব দূর করে দিব। তুমি তা না করলে আমি তোমার দুইহাত কর্মব্যস্ততায় পরিপূর্ণ করে দিব এবং তোমার অভাব-অনটন রহিত করবো না।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৪১০৭)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান গারীব। আবূ খালিদ আল-ওয়ালিবীর নাম হুরমুয।

হাদিস গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] | হাদিসের মানঃ সহিহ

৪৬৯৯। আবূ ‘আব্দুল্লাহ ইবনুদ দায়লামী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর নিকট এসে তাকে বললাম, তাকদীর সম্পর্কে আমার মনে একটা দ্বিধার উদ্রেক হয়েছে। তাই আপনি আমাকে এমন কিছু বলুন যার বিনিময়ে আশা করি মহান আল্লাহ আমার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করবেন। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ তাঁর আসমান ও পৃথিবাসী সকলকে শাস্তি দিতে পারেন। তারপরও তিনি তাদের প্রতি অন্যায়কারী সাব্যস্ত হবেন না। পক্ষান্তরে তিনি যদি তাদের সকলকে দয়া করেন তাহলে তাঁর এ দয়া তাদের জন্য তাদের নেক আমল থেকে উত্তম হবে।

সুতরাং যদি তুমি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে দান করো আর তাকদীরে বিশ্বাস না রাখো, তবে তা গ্রহণ করা হবে না যতক্ষণ না তুমি পুনরায় তাকদীরে বিশ্বাস করবে এবং উপলদ্ধি করবে যে, যা তোমার ঘটেছে তা ভুলেও তোমাকে এড়িয়ে যাওয়ার ছিলো না। আর এ বিশ্বাস ছাড়া তুমি মারা গেলে জাহান্নামে যাবে। ইবনুদ দায়লামী বলেন, অতঃপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উদ্ধৃতি দিয়ে একই কথা বলেন।[1]

সহীহ।

হাদিস গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) | হাদিসের মানঃ সহিহ

২০১০-(২/৯১৭) আবূ শায়বাহ-এর পুত্রদ্বয় উসমান ও আবূ বাকর, আমর আন নাকিদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা মুমূর্য ব্যক্তিকে “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” (আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বূদ নেই) তালকীন করো। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৯৪, ইসলামীক সেন্টার ২০০১)

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) | হাদিসের মানঃ সহিহ

২০১১-(৩/৯১৮) ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতায়বাহ ও ইবনু হুজর (রহঃ) ..... উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কোন মুসলিমের ওপর মুসীবাত আসলে যদি সে বলেঃ আল্লাহ যা হুকুম করেছেন- "ইন্না- লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলায়হি র-জিউন” (অর্থাৎ- আমরা আল্লাহরই জন্যে এবং তারই কাছে ফিরে যাব) বলে এবং এ দু'আ পাঠ করে- “আল্ল-হুম্মা' জুৱনী ফী মুসীবাতী ওয়া আখলিফ লী খয়রাম মিনহা- ইল্লা- আখলাফাল্ল-হু লাহ খয়রাম মিনহা-” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমাকে আমার মুসীবাতে সাওয়াব দান কর এবং এর বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান কর, তবে মহান আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করে থাকেন।)।

উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, এরপর যখন আবূ সালামাহ ইনতিকাল করেন, আমি মনে মনে ভাবলাম, কোন মুসলিম আবূ সালামাহ থেকে উত্তম? তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যিনি হিজরাত করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌছে গেছেন। এতদসত্ত্বেও আমি এ দু'আগুলো পাঠ করলাম। এরপর মহান আল্লাহ আবূ সালামার স্থলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মতো স্বামী দান করেছেন। উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) বলেন, আমার নিকট রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়ের পয়গাম পৌছাবার উদ্দেশে হাতিব ইবনু আবূ বালতা'আহ-কে পাঠালেন। আমি বললাম, আমার একটা কন্যা আছে আর আমার জিদ বেশী। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তার কন্যা সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে দুআ করব যাতে তিনি তাকে তার কন্যার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন। আর (তার সম্পর্কে) দু'আ করব যেন আল্লাহ তার জিদ দূর করে দেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৯৫, ইসলামীক সেন্টার ২০০২)

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) | হাদিসের মানঃ সহিহ