৮৮১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু‘আহর দিন জানাবাত গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং সালাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুত্বাহ দেয়ার জন্য বের হন তখন মালাইকাহ যিকর শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে। (মুসলিম ৭/২, হাঃ ৮৫০, আহমাদ ৯৯৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৩৭)
৩৪৭। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল আস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুম্মার দিন গোসল করবে, তার স্ত্রীর সুগন্ধি থাকলে তা থেকে ব্যবহার করবে এবং উৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করে (মসজিদে এসে) লোকদের ঘাড় না টপকিয়ে খুতবার সময় কোন নিরর্থক কথাবার্তা না বলে চুপ থাকবে- তার দু’ জুমুআর মধ্যবর্তী সময়ের যাবতীয় গুনার জন্য তা কাফফারা হবে। আর যে ব্যক্তি নিরর্থক কথা বলবে এবং লোকদের ঘাড় টপকাবে সে জুমুআর (সালাতের ফযীলত পাবে না), কেবল যুহরের সালাতের সম (ফযীলত পাবে)।[1]
হাসান।
১১১৩। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মসজিদে জুমু‘আহর সালাতে তিন ধরনের লোক এসে থাকে। এক শ্রেণীর লোক জুমু‘আহয় উপস্থিত হয়ে অনর্থক কথা ও কাজে লিপ্ত হয়। সে তার ‘আমল অনুসারেই তার অংশ পাবে। আরেক শ্রেণীর লোক জুমু‘আহয় এসে দু‘আ করে, মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করে। তিনি ইচ্ছে করলে তাদের দু‘আ কবুল করতে পারেন অথবা নাও করতে পারেন। আরেক শ্রেণীর লোক জুমু‘আহয় উপস্থিত হয়ে চুপচুপ থাকে, কোন মুসলিমের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে যায় না এবং কাউকে কষ্ট দেয় না। এই কাজগুলো এ ব্যক্তির জন্য ঐ জুমু‘আহ হতে পরবর্তী জুমু‘আহ পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরো তিনদিন পর্যন্ত গুনাহের কাফফারাহ হবে। কেননা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি একটি নেকীর কাজ করবে বিনিময়ে তাকে তার দশ গুণ সওয়াব দেয়া হবে’’ (সূরাহ আল-আনআমঃ ১৬০)।[1]
হাসান।