লোড করা হচ্ছে ...

খুতবার বিষয়: তাহাজ্জুদ এক আশ্চর্য ইবাদাত

তাহাজ্জুদ এক আশ্চর্য ইবাদাত


কুরআনের দলিল
৩৫ : ২৯ যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না।
৭৩ : ১ হে বস্ত্রাবৃত!
৭৩ : ২ রাত্রিতে দন্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে;
৭৩ : ৩ অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম
৭৩ : ৪ অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবে ও স্পষ্টভাবে।

৭৬ : ২৬ রাত্রির কিছু অংশে তাঁর উদ্দেশে সিজদা করুন এবং রাত্রির দীর্ঘ সময় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
৭৩ : ২০ আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
২৫ : ৬৪ এবং যারা রাত্রি যাপন করে পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হয়ে ও দন্ডায়মান হয়ে;
৭৩ : ৬ নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।
৩৯ : ৯ যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।
৩ : ১৭ তারা ধৈর্য্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী।
৫১ : ১৫ খোদাভীরুরা জান্নাতে ও প্রস্রবণে থাকবে।
৫১ : ১৬ এমতাবস্থায় যে, তারা গ্রহণ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদেরকে দেবেন। নিশ্চয় ইতিপূর্বে তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ,
৫১ : ১৭ তারা রাত্রির সামান্য অংশেই নিদ্রা যেত,
৫১ : ১৮ রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করত,


হাদিস দলিল

৬/১৩৩৪। আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা্য় পদার্পণ করলে লোকেরা তাঁকে দেখার জন্য ভীড় জমায় এবং বলাবলি হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসেছেন। আমিও লোকেদের সাথে তাঁকে দেখতে গেলাম। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চেহারার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম যে, এ চেহারা কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা নয়। তখন তিনি সর্বপ্রথম যেকথা বলেন তা হলোঃ হে লোকসকল! তোমরা পরস্পর সালাম বিনিময় করো, অভুক্তকে আহার করাও এবং রাতের বেলা মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সালাত (নামায/নামাজ) পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।

হাদিস গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ | হাদিসের মানঃ সহিহ

১২৩২-[১৪] আবূ মালিক আল আশ্‘আরী (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ জান্নাতে এমনসব কক্ষ আছে যার বাইরের জিনিস ভেতর থেকে আর ভেতরের জিনিস বাইরে থেকে দেখা যায়। আর এ বালাখানা আল্লাহ তা‘আলা ঐসব ব্যক্তির জন্যে তৈরি করে রেখেছেন, যারা অন্য ব্যক্তির সঙ্গে নরম কথা বলে। (গরীব-মিসকীনকে) খাবার দেয়। প্রায়ই (নফল) সওম পালন করে। রাত্রে এমন সময় (তাহাজ্জুদের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে যখন অনেক মানুষ ঘুমিয়ে থাকে। (বায়হাক্বীর শু‘আবুল ঈমান)[1]

হাদিস গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) | হাদিসের মানঃ হাসান

৩৫৪৯. ইসহাক ইবন মানসূর (রহঃ) ...... বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ) প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কেননা, এ হল তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অবলম্বিত রীতি। রাতের সালাত আল্লাহর নৈকট্যলাভ ও গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়; মন্দ কাজের কাফফারা এবং শারীরিক রোগের প্রতিরোধক।

যইফ, ইরওয়া ৪৫২, তা'লীকুর রাগীব ২/২১৬, মিশকাত ১২২৭

হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু এর রিওয়ায়াত হিসেবে এটি সম্পর্কে আমারা কিছু জানি না। সনদের দিক থেকে এটি সহীহ নয়। মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল বুখারী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ মুহাম্মাদ কুরাশী হলেন মুহাম্মাদ ইবন সাঈদ শামী। ইনি ইবন আবূ কায়েস; আর ইনি মুহাহাম্মাদ ইবন হাসসান। তাঁর বর্ণিত হাদীস পরিত্যাজ্য। মুআবিয়া ইবন সালিহ (রহঃ) এই হাদীসটি রাবিআ ইবন ইয়াযীদ-আবূ ইদরীস খাওলানী-আবূ উমামা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে। অনুরূপভাবে মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ উমামারাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ) প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কেননা, এ হল তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের রীতি। এ হল তোমাদের রব্বের নৈকট্য লাভের উপায়, মন্দ কাজ সমুহের কাফফারা ও পাপসমূহের জন্য প্রতিরোধক। আবূ ইদরীস-বিলালরাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত থেকে এই রিওয়ায়াতটি অধিক সাহীহ।

হাসান, ইরওয়া ৪৫২, তা'লীকুর রাগীব ২/২১৬, মিশকাত ১২২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদিস গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]

১৮৩। ইসমাইল (রহঃ) .... ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী মায়মূনা (রাঃ) এর ঘরে রাত কাটান। তিনি ছিলেন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর খালা। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমি বিছানার চওড়া দিকে শয়ন করলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর স্ত্রী বিছানার লম্বা দিকে শয়ন করলেন; এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনিভাবে রাত যখন অর্ধেক হয়ে গেল তার কিছু পূর্বে কিংবা কিছু পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেগে উঠলেন। তিনি বসে হাত দিয়ে তাঁর মুখমণ্ডল থেকে ঘুমের আবেশ মুছতে লাগলেন। তারপর সূরা আলে-‘ইমরানের শেষ দশ আয়াত পাঠ করলেন।

এরপর দাঁড়িয়ে একটি ঝুলন্ত মশক থেকে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। তিনি সুন্দরভাবে উযূ করলেন। তারপর সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমিও উঠে তিনি যেরূপ করেছিলেন তদ্রুপ করলাম। তারপর গিয়ে তাঁর বাঁ পাশে দাঁড়ালাম। তিনি তাঁর ডান হাত আমার মাথার উপর রাখলেন এবং আমার ডান কান ধরে একটু নাড়া দিলেন (এবং তাঁর), ডান পাশে এনে দাঁড় করালেন। তারপর তিনি দু রাক‘আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তারপর দু রাক‘আত, তারপর দু রাক‘আত, দু রাক‘আত, তারপর দু রাক‘আত, তারপর দু রাক‘আত, তারপর বিতর আদায় করলেন। তারপর শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর কাছে মুয়াযযিন এলেন। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে হাল্কাভাবে দু রাক‘আত সালাত আদায় করলেন। তারপর বেরিয়ে গিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন।

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

১১৫৪. উবাদাহ ইবনু সামিত (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে জেগে ওঠে (উপরোক্ত) দু‘আ পড়ে-

(দু‘আর অর্থ) ‘‘এক আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। রাজ্য তাঁরই। যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই। তিনিই সব কিছুর উপরে শক্তিমান। যাবতীয় হাম্দ আল্লাহরই জন্য, আল্লাহ্ তা‘আলা পবিত্র, আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ্ মহান, গুনাহ হতে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোন শক্তি নেই আল্লাহর তাওফীক ব্যতীত।’’ অতঃপর বলে, ‘‘হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন।’’ বা (অন্য কোন) দু‘আ করে, তাঁর দু‘আ কবূল করা হয়। অতঃপর উযূ করে (সালাত আদায় করলে) তার সালাত কবূল করা হয়। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৮৭)

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

২৪৫. হুযায়ফাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (সালাতের জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন। (৮৮৯, ১১৩৬; মুসলিম ২/১৫, হাঃ ২৫৫, আহমাদ ২৩৪৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৪)

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

 

১১২০. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশে যখন দাঁড়াতেন, তখন দু‘আ পড়তেন- ‘‘হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনি আসমান যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আসমান যমীন এবং তাদের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান যমীনের নূর। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আকাশ ও যমীনের মালিক, আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য; আপনার সাক্ষাৎ সত্য; আপনার বাণী সত্য; জান্নাত সত্য; জাহান্নাম সত্য; নবীগণ সত্য; মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য, কিয়ামত সত্য। ইয়া আল্লাহ্! আপনার নিকটই আমি আত্মসমর্পণ করলাম; আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; আপনার উপরেই তাওয়াক্কুল করলাম, আপনার দিকেই রুজূ‘ করলাম; আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বাপর ও প্রকাশ্য গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই অগ্র পশ্চাতের মালিক। আপনি ব্যতীত সত্য প্রকৃত কোন ইলাহ্ নেই, অথবা (অপর বর্ণনায়) আপনি ব্যতীত প্রকৃত কোন সত্য মা‘বূদ নেই।

 

সুফইয়ান (রহ.) বলেছেন, আবূ উমাইয়্যাহ (রহ.) তাঁর বর্ণনায় وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ  (বাক্যটি) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। সুফইয়ান (রহ.).....ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। (৬৩১৭, ৬৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯; মুসলিম ৬/৩, হাঃ ৭৬৯, আহমাদ ২৮১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৫৪)

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

১৬২৮। আব্বাস ইবনু আব্দুল আজীম (রহঃ) ... আবূ সালামা ইবনু আব্দুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন দোয়া দ্বারা তাহাজ্জ্বুদের সালাত শুরু করতেন। তিনি বললেন, যখন তিনি রাত্রে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হতেন তার সালাত এই দোয়া পড়ে শুরু করতেনঃ

اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اللَّهُمَّ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

হাদিস গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ হাসান

৪৩২. ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের ঘরেও কিছু সালাত আদায় করবে এবং ঘরকে তোমরা কবর বানিয়ে নিও না। (১১৮৭; মুসলিম ৬/২৯, হাঃ ৭৭৭, আহমাদ ৪৬৫৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২০)

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

১৩০৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ এমন ব্যক্তির প্রতি দয়া করুন যে রাতে সজাগ হয়ে নিজে সালাত আদায় করে এবং তার স্ত্রীকেও সজাগ করে। স্ত্রী উঠতে না চাইলে সে তার মুখমন্ডলে পানি ছিটায়।[1]

হাসান সহীহ।

হাদিস গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) | হাদিসের মানঃ হাসান