লোড করা হচ্ছে ...

খুতবার বিষয়: রমাদানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

রমাদানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম


কুরআনের দলিল
৩৩ : ২২ যখন মুমিনরা শক্রবাহিনীকে দেখল, তখন বলল, আল্লাহ ও তাঁর রসূল এরই ওয়াদা আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল সত্য বলেছেন। এতে তাদের ঈমান ও আত্নসমর্পণই বৃদ্ধি পেল।

হাদিস দলিল

১৯২৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাও, কেননা সাহরীতে বরকত রয়েছে। (মুসলিম ১৩/৯, হাঃ ১০৯৫, আহমাদ ১১৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ১৭৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৯৮)

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

(১০৬৮) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন, তখন এই দু‘আ বলতেন, যাহাবায যামা-উ অবতাল্লাতিল উরুক্বু অসাবাতাল আজরু ইন শা-আল্লাহ।

অর্থাৎ, পিপাসা দূরীভূত হল, শিরা-উপশিরা সতেজ হল এবং ইন শাআল্লাহ সওয়াব সাব্যস্ত হল।

হাদিস গ্রন্থঃ হাদীস সম্ভার | হাদিসের মানঃ সহিহ

৫৭০৪। ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এসে বললেনঃ আমাকে কি এ খবর জানানো হয় নি যে, তুমি সারা রাত সালাতে কাটাও। আর সারা দিন সিয়াম পালন কর। তিনি বললেনঃ তুমি (এরকম) করো না। রাতের কিছু অংশ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় কর, আর ঘুমাও। কয়েকদিন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন কর, আর কয়েকদিন ইফতার কর (সাওম ভঙ্গ কর)। তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে। তোমার উপর তোমার চোখের হক আছে, তোমার উপর তোমার মেহমানের হক আছে, আর তোমার উপর তোমার স্ত্রীরও হক আছে। নিশ্চয়ই তুমি তোমার আয়ু লম্বা হওয়ার আশা কর। সুতরাং প্রত্যেক মাসে তিন দিন সিয়াম পালনই তোমার পক্ষে যথেষ্ঠ।

কেননা, নিশ্চয়ই প্রতিটি নেক কাজের বদলে তার দশ গুন পরিমাণ সাওয়াব দেওয়া হয়। সুতরাং এভাবে সারা বছরেই সিয়ামের সাওয়াব পাওয়া যায়। তখন আমি কঠোর ব্যবস্থা চাইলে, আমাকে কঠোর ব্যবস্থা দেয়া হলো। আমি বললাম এর চেয়েও বেশী পালনের সামর্থ আমার আছে। তিনি বললেনঃ তা হলে তুমি প্রতি সপ্তাহে তিন দিন সিয়াম পালন কর। তখন আমি আরও কঠোর ব্যবস্থা চাইলে, আমাকে কঠোর ব্যবস্থা দেওয়া হল। আমি বললাম আমি এর চেয়ে বেশী সিয়ামের সামর্থ রাখি। তিনি বললেনঃ তবে তুমি আল্লাহর নবী দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর সিয়াম পালন কর। আমি বললাম ইয়া নবী আল্লাহ! দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর সিয়াম কি রকম? তিনি বললেন? আধা বছর সিয়াম পালন।

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

১০৭১। আবূল ইয়ামন (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, একজন জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাতের সালাত (নামায/নামাজ)-এর (আদায়ের) পদ্ধতি কি? তিনি বললেনঃ দু’ রাকা’আত করে। আর ফজর হয়ে যাওয়ার আশংকা করলে এক রাকা’আত মিলিয়ে বিতর আদায় করে নিবে।

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

১৮৯১। ইবরাহীম ইবনু হামযা (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসের মাঝের দশকে ইতিকাফ করেন। বিশ তারিখ অতীত হওয়ার সন্ধ্যায় এবং একুশ তারিখের শুরুতে তিনি এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ইতিকাফ করেছিলেন সকলেই নিজ নিজ বাড়ীতে প্রস্থান করেন। এবং তিনি যে মাসে ইতিকাফ করেন ঐ মাসের যে রাতে ফিরে যান সে রাতে লোকদের সামনে ভাষণ দেন। আর তাতে মাশাআল্লাহ, তাদেরকে বহু নির্দেশ দান করেন, তারপর বলেন যে, আমি এই দশকে ইতিকাফ করেছিলাম। এরপর আমি সিদ্ধান্ত করেছি যে, শেষ দশকে ইতিকাফ করব। যে আমার সঙ্গে ইতিকাফ করেছিল সে যেন তার ইতিকাফস্থলে থেকে যায়। আমাকে সে রাত দেখানো হয়েছিল, পরে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ শেষ দশকে ঐ রাতের তালাশ কর এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তা তালাশ কর। আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, মসজিদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ)-এর স্থানেও বৃষ্টির পানি পড়তে থাকে। এটা ছিল একুশ তারিখের রাত। যখন তিনি ফযরের সালাত (নামায/নামাজ) শেষে ফিরে বসেন তখন আমি তাঁর দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পাই যে, তাঁর মুখমন্ডল কাদা-পানি মাখা।

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

৭০১-[১৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাত ধরনের মানুষকে আল্লাহ তা‘আলা সেদিন (কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন) তাঁর ছায়ার নীচে আশ্রয় দিবেন যেদিন আল্লাহর ছায়া ছাড়া আর কারো ছায়া থাকবে নাঃ (১) ন্যায়পরায়ণ শাসক, (২) সেই যুবক যে যৌবন বয়সে আল্লাহর ‘ইবাদাতে কাটিয়েছে, (৩) যে ব্যক্তি মাসজিদ থেকে বের হয়ে এসে আবার সেখানে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত মসজিদেই তার মন পড়ে থাকে, (৪) সেই দুই ব্যক্তি, যারা পরস্পরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে। যদি তারা একত্রিত হয় আল্লাহর জন্য হয়, আর যদি পৃথক হয় তাও আল্লাহর জন্যই হয়, (৫) সে ব্যক্তি, যে একাকী অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে আর আল্লাহর ভয়ে তার দু’ চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, (৬) সে ব্যক্তি, যাকে কোন উচ্চ বংশীয় সুন্দরী যুবতী কু-কাজ করার জন্য আহবান জানায়। এর উত্তরে সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি, (৭) সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর পথে গোপনে দান করে। যার বাম হাতও বলতে পারে না যে, তার ডান হতে কী খরচ করেছে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

হাদিস গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) | হাদিসের মানঃ সহিহ

১৯০১। মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে তাঁর মাথা ঝুকিয়ে দিতেন আর আমি ঋতুবতী অবস্থায় তাঁর চুল আঁচড়িয়ে দিতাম।

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

১৯০২। কুতায়বা (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে থাকাবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন তখন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না।

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

১৯০৫। আবূন নু‘মান (রহঃ) ... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমযানের শেষ দশকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করতেন। আমি তাবু তৈরী করে দিতাম। তিনি ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে তাতে প্রবেশ করতেন। (নবী সহধর্মিণী) হাফসা (রাঃ) তাঁবু খাটাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তিনি তাঁকে অনুমতি দিলে হাফসা (রাঃ) তাবুঁ খাটালেন। (নবী সহধর্মীণী) যয়নাব বিনতে জাহশ (রাঃ) তা দেখে আরেকটি তাবু তৈরি করলেন। সকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুঁগুলো দেখলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন এগুলো কি? তাকে জানানো হলে তিনি বললেনঃ তোমরা কি মনে কর এগুলো দিয়ে নেকি হাসিল হবে? এ মাসে তিনি ইতকিাফ ত্যাগ করলেন এবং পরে শাওয়াল মাসে ১০ দিন (কাযা স্বরুপ) ইতিকাফ করেন।

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

১/৭৩৫। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহ্‌র নামের যিকিরের জন্য একটি মাসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসা’দ তৈরি করেন।

হাদিস গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ | হাদিসের মানঃ সহিহ