লোড করা হচ্ছে ...

খুতবার বিষয়: অন্তর নরম করার কিছু উপায়

অন্তর নরম করার কিছু উপায়


কুরআনের দলিল
৩৯ : ২২ আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে। (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্যে দূর্ভোগ। তারা সুস্পষ্ঠ গোমরাহীতে রয়েছে।
৫ : ৮৩ আর তারা রসূলের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা যখন শুনে, তখন আপনি তাদের চোখ অশ্রু সজল দেখতে পাবেন; এ কারণে যে, তারা সত্যকে চিনে নিয়েছে। তারা বলেঃ হে আমাদের প্রতি পালক, আমরা মুসলমান হয়ে গেলাম। অতএব, আমাদেরকেও মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নিন।
১৫ : ৯ আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
১৭ : ১০৯ তারা ক্রন্দন করতে করতে নতমস্তকে ভুমিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়ভাব আরো বৃদ্ধি পায়।
৫৫ : ৪৬ যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে পেশ হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্যে রয়েছে দু’টি উদ্যান।
৭ : ২৩ তারা উভয়ে বললঃ হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব।
৬ : ৯৪ তোমরা আমার কাছে নিঃসঙ্গ হয়ে এসেছ, আমি প্রথমবার তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলাম। আমি তোদেরকে যা দিয়েছিলাম, তা পশ্চাতেই রেখে এসেছ। আমি তো তোমাদের সাথে তোমাদের সুপারিশকারীদের কে দেখছি না। যাদের সম্পর্কে তোমাদের দাবী ছিল যে, তারা তোমাদের ব্যাপারে অংশীদার। বাস্তুবিকই তোমাদের পরস্পরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তোমাদের দাবী উধাও হয়ে গেছে।
১০২ : ১ প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে,
১০২ : ২ এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।

৮৩ : ১৪ কখনও না, বরং তারা যা করে, তাই তাদের হৃদয় মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে।
৪৭ : ২৪ তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?
৩৯ : ২৩ আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর, যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, এরপর তাদের চামড়া ও অন্তর আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়। এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
৪০ : ৬০ তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।
৩ : ১৯০ নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।
৪ : ৪১ আর তখন কি অবস্থা দাঁড়াবে, যখন আমি ডেকে আনব প্রতিটি উম্মতের মধ্য থেকে অবস্থা বর্ণনাকারী এবং আপনাকে ডাকব তাদের উপর অবস্থা বর্ণনাকারীরূপে।
১২ : ৮৬ তিনি বললেনঃ আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতা আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আমি যা জানি, তা তোমরা জান না।

হাদিস দলিল

১৬৬৯। আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দু'টি ফোটা ও দুটি চিহ্নের চেয়ে বেশি প্রিয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট আর কিছু নেই। আল্লাহ্ তা'আলার ভয়ে যে অশ্রুর ফোটা পড়ে, আল্লাহ্ তা'আলার পথে (জিহাদে) যে রক্তের ফোটা নির্গত হয় এবং আল্লাহ্ তা'আলার রাস্তায় (জিহাদে) যে চিহ্ন (ক্ষত) সৃষ্টি হয়, আল্লাহ্ তা'আলার নির্ধারিত কোন ফরজ আদায় করতে গিয়ে যে চিহ্ন সৃষ্টি হয় (যেমন কপালে সিজদার চিহ্ন)।

হাসান, মিশকাত (৩৮৩৭), তা’লীকুর রাগীব (২/১৮০)

এ হাদীসটি হাসান গারীব।

হাদিস গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] | হাদিসের মানঃ হাসান

১৬৩৩। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার ভয়ে যে লোক ক্ৰন্দন করে তার জাহান্নামে যাওয়া এরূপ অসম্ভব যেমন অসম্ভব দোহন করা দুধ আবার পালানের মধ্যে ফিরে যাওয়া। আল্লাহ তা'আলার পথের ধুলা এবং জাহান্নামের ধুঁয়া কখনও একত্র হবে না (আল্লাহ্ তা'আলার পথের পথিক জাহান্নামে যাবে না)।

সহীহ, মিশকাত (৩৮২৮), তা’লীকুর রাগীব (২/১৬৬)

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আবূ তালহা (রাঃ)-এর মুক্তদাস ছিলেন মুহাম্মাদ ইবনু আবদুর রাহমান (রাহঃ) এর মুক্তদাস ছিলেন মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রাহমান (রাহঃ)। তিনি একজন মাদীনার অধিবাসী।

হাদিস গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] | হাদিসের মানঃ সহিহ

৬৬০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে দিন আল্লাহর (রহমতের) ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দিবেন।
১. ন্যায়পরায়ণ শাসক,
২. সে যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার প্রতিপালকের ইবাদতের মধ্যে,
৩. সে ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে,
৪. সে দু’ ব্যক্তি যারা পরস্পরকে ভালবাসে আল্লাহর ওয়াস্তে, একত্র হয় আল্লাহর জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহর জন্য,
৫. সে ব্যক্তি যাকে কোনো উচ্চ বংশীয় রূপসী নারী আহবান জানায়, কিন্তু সে এ বলে প্রত্যাখ্যান করে যে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’,
৬. সে ব্যক্তি যে এমন গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত যা খরচ করে বাম হাত তা জানে না,
৭. সে ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর যিকর করে, ফলে তার দু’ চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বইতে থাকে।
(১৪২৩, ৬৪৭৯; মুসলিম ১২/৩০, হাঃ ১০৩১,আহমদ ৯৬৭১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬২৭)

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) | হাদিসের মানঃ সহিহ

২৫০০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহ তা'আলা ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার অতিথির অভ্যর্থনা ও আদর-যত্ন করে। আর যে লোক আল্লাহ তা'আলা ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা নীরব থাকে।

সহীহঃ ইরওয়া (২৫২৫), বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি সহীহ। আয়িশাহ, আনাস, আবূ শুরাইহ আল-কাবী (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ শুরাইহ আল-কাবী হলেন আল-আদাবী, তার নাম খুওয়াইলিদ ইবনু আমর।

হাদিস গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] | হাদিসের মানঃ সহিহ

৬০৪১। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যা জানি যদি তোমরা তা জানতে তবে তোমরা অবশ্যই হাসতে কম আর কাঁদতে বেশি।

হাদিস গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) | হাদিসের মানঃ সহিহ