৯৬৯. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ‘আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের ‘আমলই উত্তম নয়। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি (উত্তম) নয়? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ছাড়া যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯১৮)
২/১৭২৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যুলহিজ্জার) দশ দিনের ইবাদতের চেয়ে দুনিয়ার অন্য কোন দিনের ইবাদত মহান আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় নয়। এই ক’দিনের মধ্যকার এক এক দিনের রোযা এক বছর রোযা রাখার সমান এবং তার এক একটি রাত কদরের রাতের সমান।
৮১০। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা হাজ্জ ও উমরা পরপর একত্রে আদায় কর। কেননা, এ হাজ্জ ও উমরা দারিদ্র্য ও গুনাহ দূর করে দেয়, লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা যেমনভাবে হাপরের আগুনে দূর হয়। একটি কুবুল হাজ্জের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়। - হাসান সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৮৮৭)
উম্মু সালামা ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ গারীব বলেছেন।
৫০১১-(৩৯/১৯৭৭) ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন (যিলহাজ্জ মাসের) প্রথম দশদিন উপস্থিত হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল ও নখের কিছুই স্পর্শ না করে (কর্তন না করে)।
সুফইয়ান (রহঃ) কে বলা হলো, অনেকে তো হাদীসটিকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উল্লেখ করেন না। তিনি বললেন, আমি কিন্তু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই উল্লেখ করি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৯৫৫, ইসলামিক সেন্টার ৪৯৬১)
১৪৭৯-[৩] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা কুরবানীর দিনকে এ উম্মাতের জন্য ‘ঈদ’ হিসেবে পরিগণিত করেছেন। এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! আমি যদি মাদী ‘মানীহাহ্’ ছাড়া অন্য কোন পশু না পাই। তবে কি তা দিয়েই কুরবানী করব? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ না; তবে তুমি এ দিন তোমার চুল ও নখ কাটবে। তোমার গোঁফ কাটবে। নাভীর নীচের পশম কাটবে। এটাই আল্লাহর নিকট তোমার পরিপূর্ণ কুরবানী। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1]