৪৪৪৭-(৩২/১৭৪৭) আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু 'আলা ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... হাম্মাম ইবনু মুনব্বিহ (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যে সকল হাদীস আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন, এর মধ্যে এটিও যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নবীগণের মধ্যে কোন এক নবী [ইউশা' ইবনু নূন (আঃ) যিনি লাম (বাহরাইন) দেশে মূসা (আঃ)-এর প্রতিনিধি ছিলেন] জিহাদে রওনা দিলেন। তিনি তার লোকদের বললেন, এমন লোক যেন আমার সাথে অভিযানে না আসে, যে ব্যক্তি সদ্য বিবাহ করেছে এবং বাসর যাপনে ইচ্ছুক, কিন্তু এখনো তা সম্পন্ন হয়নি। সে ব্যক্তি যেন না আসে যে গৃহ নিৰ্মাণ করেছে এবং এখনো তার ছাদ দেয়নি এবং সে ব্যক্তি যেন না আসে যে গর্ভবতী ছাগল বা উটিনী ক্রয় করেছে এবং সেগুলোর বাচ্চা প্রসবের অপেক্ষায় আছে।
রাবী বলেন, তারপর তিনি জিহাদে গমন করেন এবং আসরের সালাতের সময় যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিকটবর্তী এক গ্রামে পৌছেন। তখন তিনি সূর্যকে লক্ষ্য করে বললেন, তুমিও আদিষ্ট এবং আমিও আদিষ্ট। ইয়া আল্লাহ! তুমি একে আমার জন্য কিছুক্ষণ থামিয়ে রাখো (সূর্যাস্তের পূর্বেই বিজয় পাওয়ার জন্য)। সূর্যকে থামিয়ে দেয়া হলো। অবশেষে আল্লাহ তা'আলা তাকে বিজয় প্রদান করলেন। রাবী বলেন, তারা গনীমাতের মাল একত্রিত করল। তখন তা খাওয়ার জন্য আগুন এগিয়ে এলো। কিন্তু অগ্নি তা খেতে অস্বীকার করল।*
তখন সে নবী বললেন, তোমাদের মধ্যে আত্মসাৎকারী রয়েছে। কাজেই তোমাদের প্রত্যেক গোত্র থেকে একজন করে আমার কাছে বাই’আত করবে। সুতরাং তারা তার কাছে বাই’আত করল। এতে এক ব্যক্তির হাত নবীর হাতের সাথে লেগে গেল। তখন তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে আত্মসাৎকারী রয়েছে। কাজেই তোমাদের গোত্রের লোকেরা আমার কাছে বাই’আত করুক। অতঃপর তার ঐ গোত্রের লোকেরা বাই’আত করল।
রাবী বলেন, তখন নবীর হাত দু' বা তিন ব্যক্তির হাতের সাথে লেগে গেল। তখন তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে আত্মসাৎকারী রয়েছে। তোমরা আত্মসাৎ করেছ। রাবী বলেন, তারপর তারা নবীর কাছে একটি গাভীর মাথার পরিমাণ স্বর্ণখণ্ড বের করে দিলো। আর তারা সেটিও ঐ সম্পদের সাথে রাখল। তারপর আগুন এগিয়ে এসে তা খেয়ে ফেলল। আমাদের পূর্বে কারো জন্য গনীমাতের মাল হালাল ছিল না। আল্লাহ তা'আলা আমাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখে আমাদের জন্য গনীমাতের মাল হালাল করে দিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪০৫, ইসলামিক সেন্টার ৪৪০৫)
২৮৯-(২৫০/১৫৯) ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (আঃ) ..... আবূ যার (রাযিঃ) বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা কি জান, এ সূর্য কোথায় যায়? সাহাবাগণ বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, এ সূর্য চলতে থাকে এবং (আল্লাহ তা'আলার) আরশের নীচে অবস্থিত তার অবস্থান স্থলে যায়। সেখানে সে সাজদাবনত হয়ে পড়ে থাকে। শেষে যখন তাকে বলা হয়, উঠ এবং যেখান থেকে এসেছিলে সেখানে ফিরে যাও! অনন্তর সে ফিরে আসে এবং নির্ধারিত উদয়স্থল দিয়েই উদিত হয়। তা আবার চলতে থাকে এবং আরশের নীচে অবস্থিত তার অবস্থান স্থলে যায়। সেখানে সে সাজদাবনত অবস্থায় পড়ে থাকে। শেষে যখন তাকে বলা হয় উঠ এবং যেখান থেকে এসেছিলে সেখানে ফিরে যাও। তখন সে ফিরে আসে এবং নির্ধারিত উদয়স্থল হয়েই সে উদিত হয়। এমনিভাবে চলতে থাকবে; মানুষ তার থেকে অস্বাভাবিক কিছু হতে দেখবে না। শেষে একদিন সূর্য যথারীতি আরশের নীচে তার অবস্থানে যাবে। তাকে বলা হবে, উঠ এবং অস্তাচল থেকে উদিত হও। অনন্তর সেদিন সূর্য পশ্চিমাকাশে উদিত হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, (কুরআনের বাণী) “কোন দিন সে অবস্থা হবে তোমরা জান? সেদিন ঐ ব্যক্তির ঈমান কোন কাজে আসবে না, যে ব্যক্তি পূর্বে ঈমান আনেনি কিংবা যে ব্যক্তি ঈমানের মাধ্যমে কল্যাণ অর্জন করেনি"- (সূরাহ আল আনআম ৬ঃ ১৫৮)*। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩০৭)
৩২৩-(২৮২/...) উবাইদুল্লাহ ইবনু মু'আয আল 'আম্বারী (রহঃ) ..... 'আবদুল্লাহ থেকে "তিনি তো তার প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছিলেন"- (সূরাহ আন নাজম ৫৩ঃ ১৮)। এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন এবং এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল (আঃ)-কে তার আকৃতিতে দেখেছিলেন, তার ছয়শ' ডানা আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩১, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩৪২)