৭৩৯০-(৯৪/২৯৯৯) হাদ্দাব ইবনু খালিদ আল আযদী ও শাইবান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... সুহায়ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুমিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মু’মিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শুকর-গুজার করে আর অস্বচ্ছলতা বা দুঃখ-মুসীবাতে আক্রান্ত হলে সবর করে, প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২২৯, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮২)
৪/৩৮০৩। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দনীয় কিছু দেখলে বলতেনঃ ‘‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী বিনিয়‘মাতিহি তাতিমুসসালিহাত’’ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যাঁর করুণায় নেক কাজসমূহ পূর্ণতা লাভ করে)। তিনি অপছন্দনীয় কিছু দেখলে বলতেনঃ ‘‘আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হাল’’ (সর্বাবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)।
১৫২২। মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে বললেন, হে মু‘আয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি। তিনি বললেন, হে মু‘আয! আমি তোমাকে ওয়াসিয়াত করছি, তুমি প্রত্যেক সালাতের পর এ দু‘আটি কখনো পরিহার করবে নাঃ ‘‘আল্লাহুম্মা আঈন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা’’ (অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ‘ইবাদাতে আমাকে সাহায্য করুন)। অতঃপর মু‘আয (রাঃ) আস-সুনাবিহী (রহঃ)-কে এবং আস-সুনাবিহী ‘আবদুর রহমানকে এরূপ দু‘আ করার ওয়াসিয়াত করেন।[1]
সহীহ।