৬৮২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শাইতান ও দুষ্ট জিনদেরকে রামাযান মাসের প্রথম রাতেই শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয় এবং এর দরজাও তখন আর খোলা হয় না, খুলে দেওয়া হয় জান্নাতের দরজাগুলো এবং এর একটি দরজাও তখন আর বন্ধ করা হয় না। (এ মাসে) একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেনঃ হে কল্যাণ অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর বহু লোককে আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ হতে এ মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে। — সহীহ ইবনু মা-জাহ (১৬৪২)
আবদুর রাহমান ইবনু আওফ, ইবনু মাসউদ ও সালমান (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
৩৫৪৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তার নাক ভূলুষ্ঠিত হোক যার কাছে আমার নাম উল্লেখিত হল, কিন্তু সে আমার উপর দরূদ পাঠ করেনি। ভূলুষ্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট রমযান মাস এলো অথচ তার গুনাহ মাফ হয়ে যাওয়ার পূর্বেই তা পার হয়ে গেল। আর ভূলুষ্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট তার বাবা-মা বৃদ্ধে উপনিত হলো, কিন্তু তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করায়নি (সে তাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করে জান্নাত অর্জন করেনি)। আবদুর রহমানের রিওয়াইয়াতে “কিংবা যে কোন একজন” কথাটুকুও আছে।
হাসান সহীহঃ মিশকাত (৯২৭), তা’লীকুর রাগীব (২/২৮৩), নবীর উপর দরূদ পাঠের ফাযীলাত (১৬), মুসলিম হাদীসের শেষ অংশ বর্ণনা করেছেন।
এ অনুচ্ছেদে জাবির ও আনাস (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব। রিবঈ ইবনু ইবরাহীম হলেন ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীমের ভাই। তিনি বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী এবং ইনি হলেন ইবনু উলাইয়্যাহ (তার মাতার নাম)।
কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, কোন লোক মাজলিসে একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পাঠ করলে, তারপর যতক্ষণ সে উক্ত মাজলিসে অবস্থান করবে, তা যথেষ্ট হবে।
২৪৫০। আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক ভয় পায় সে ভোররাতেই যাত্রা শুরু করে, আর ভোররাতেই যে লোক যাত্রা শুরু করে, সে গন্তব্য স্থলে পৌছতে পারে। জেনে রাখ, আল্লাহ তা'আলার পণ্য খুবই দামী। জেনে রাখ, আল্লাহ্ তা'আলার পণ্য হলো জান্নাত।
সহীহ, সহীহাহু (৯৫৪, ২৩৩৫), মিশকাত তাহকীক ছানী (৫৩৪৮)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীস প্রসঙ্গে শুধুমাত্র আবূন নাযরের সূত্রেই জেনেছি।